স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা এলাকা থেকে সালদা নদীর উৎপত্তি। গত দুই দিনের প্রবল বর্ষণ ও ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলের পানিতে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সকাল থেকে সালদা নদীর পানি ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়ায় বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদী রেলস্টেশন, খাদলা বেলতলী সড়ক, হরিপুর বাজার থেকে পেট্রোবাংলা সড়ক, শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে কোল্লাপাথর সড়ক, শ্যামপুর সড়ক, কৈখলার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বড় বায়েক, হরিপুর, বিদ্যানগর, নিশ্চিন্তপুর, গৌরাঙ্গলা, শ্যামপুর, পুটিয়া, খাদলাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামগুলোর কৃষিজমি ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকেই বায়েক এলাকায় অবস্থান করছেন তিনি। পাহাড়ি ঢলে আর বৃষ্টির পানিতে পাঁচ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, সালদা নদীতে পানি মাপার কোনো যন্ত্র স্থাপন করা হয়নি। এ নদী দিয়ে শুধু ভারত থেকে পানি আসে। তিনি বলেন, সালদা নদীর কোন বাঁধ ভেঙেছে, তার খোঁজখবর নিচ্ছি। যদি বাঁধের কোনো অংশ ভাঙা থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভূঁইয়া।
বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভূঁইয়া বলেন, সালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ। আর মাত্র এক ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে বাড়িঘরসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবে।
ইউএনও মাসুদ উল আলম বলেন, বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে।