খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শিখন প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করার লক্ষ্যে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শিশুমেলা’। আনন্দলাভ, অনুসন্ধান, সমস্যা থেকে উত্তরণ ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে শিশুদের খেলার প্রতি উৎসাহ দেওয়াই ছিল এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। খেলার মাধ্যমে শেখার সুবিধা ও শিশুদের জন্য নিরাপদ খেলার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অভিভবকদের সচেষ্ট করাও ছিল এর অন্যতম কারণ।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে দিনব্যাপী ‘শিশুমেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লেগো ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন: বাংলাদেশ শাখার ‘চ্যাম্পিয়নিং প্লে’ প্রকল্পের অধীনে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, তিন থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা এবং প্রত্যেকের সাথে তাদের অভিভাবকরা অনলাইন প্রি-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সকাল ও দুপুরের সেশনে মেলায় অংশগ্রহণ করেন। মেলায় প্রবেশ করে প্রথমেই দেখা যায় রংবিহীন ছবির বোর্ডগুলো। শিশুদের প্রথম আকর্ষণের জায়গা ছিল এই বোর্ডগুলো।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিটি স্টলের আয়োজনই ছিল শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ বা আর্লি চাইল্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইসিসিডি) কর্মসূচির পরীক্ষিত পদ্ধতি যা শিশুর সার্বিক বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক। ইসিসিডি সেভ দ্য চিলড্রেন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি।
গাইবান্ধা ছাড়াও, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাথে শিক্ষাকেন্দ্রে খেলার উপকরণ (ম্যাজিক ব্যাগ) বিতরণের মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় কয়েকটি বেসরকারি স্কুলে খেলার মাধ্যমে শেখার প্রচারের জন্য খেলার উপকরণ (ম্যাজিক ব্যাগ) বিতরণ করেছে।