ইবি প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীবাহী বাসে ড্রাইভার কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে রোববার (৩ মার্চ) প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং পরিবহন প্রশাসকের নিকট বিচার চেয়ে আবেদন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তিনি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সানি আহমেদ মিথুন। অভিযুক্ত রোকনুজ্জামান ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ বাসের ড্রাইভার।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত শনিবার আনুমানিক বিকাল ৩টায় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে আমি বাসে উঠি। বাসে বহিরাগত যাত্রীদের তুললে আমি বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ করি। বহিরাগতদের দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার বাবা-মা তুলে অশ্লীল গালাগালি করে আমাকে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন। পরে আমি তাদের ওই কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রাখতে ভিডিও করলে বাসের ড্রাইভার এবং হেলপার আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় তারা আমার ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করার জন্য জোরাজুরি করে। আমি ফোন দিতে রাজি না হলে তারা আবারও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে আমাকে। পরে আশপাশ থেকে স্থানীয় লোকজন আমাকে ছাড়িয়ে দিলে গাড়ি সেই স্থান ত্যাগ করে।
ভুক্তভোগী সানি আহমেদ মিথুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ শিক্ষার্থী হিসেবে বাস ড্রাইভার ও হেলপার আমার সাথে যে বাজে আচরণ ও মারধর করেছে বিষয়টি আমাকে চরম ব্যথিত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মেনে নিতে পারছি না। নেক্কারজনক এ ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়ে অভিযুক্ত ড্রাইভার রোকনুজ্জামান বলেন, আমি আমার পরিচিত একজনকে গাড়িতে তুলেছিলাম। এসময় ওই ছেলে ভিডিও করে। তার পরিচয় জানার পর তার সাথে কোন ধরনের বাজে আচরণ করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। এমন অভিযোগ আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আলোচনা করেছি। অভিযুক্ত বাস ড্রাইভার ও হেলপারকে ক্যাম্পাসে বাস চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে গাড়ির মালিক সমিতির সাথে আলোচনা করবো।