রংপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
রংপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে মাইনুদ্দিন নামে এক যুবক (৩৬)। গতকাল (৩ জুন) সকালে ওই যুবক পীরগাছা থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনাটি গতকাল (৩ জুন) টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, পীরগাছা অন্নদানগর ইউনিয়নের খামার নয়াবাড়ি এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে আয়শা বেগমের (৩৬) সঙ্গে ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় ঠাকুরগাঁও জেলার ভেলাজান ইউনিয়নের বাঁশগাড়া গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে মাইনুদ্দিনের। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।
গত দুই বছর আগে পীরগাছার মমিন বাজার জগজীবন এলাকার যুবক ফারুকের (২৬) সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ায় আয়শা। বিষয়টি মাইনুদ্দিন জানার পর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। আয়শাকে পরকীয়া প্রেমের আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে স্ত্রী-সন্তানসহ মাইনুদ্দিন ঢাকায় চলে যায়। গত ২৯শে মে পীরগাছায় গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীসহ ফিরে আসে মাইনুদ্দিন। খবর পেয়ে আয়শাকে ফোন করে তার পরকীয়া প্রেমিক ফারুক।
বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যরাত পর্যন্ত নিজ ঘরে মাইনুদ্দিন ও আয়শার কথা কাটাকাটি চলে। এরই একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে মাইনুদ্দিন আয়শার পেটে শাবল দিয়ে আঘাত করে। এতে আয়শা রক্তাত্ব হয়ে পড়লে কুড়াল দিয়ে চোট দেয়াসহ গলা পাড়া দিয়ে আয়শাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে সকাল ৭টায় লাশ বাড়িতে রেখে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে মাইনুদ্দিন।
বিষয়টি জানতে পেরে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশসহ পীরগাছা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, শাবল, রক্তমাখা লুঙ্গিসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেন।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, আসামি পুলিশের কাছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। লাশের সুরতহাল করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।