৩০ জুন সহকারী শ্রম পরিদর্শক সৈকত মাহমুদ বাদী হয়ে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, করোনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জীবাণুনাশক (সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবানুনাশক স্প্রে) ব্যবহার না করা, শিশুশ্রমিক নিয়োগ, কারখানার পূর্ব দিকের ছয়তলার কক্ষে নির্মল বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা, পরিদর্শক কর্তৃক কাজের সময়সূচির নোটিশ অনুমোদন না করা, কার্যকর সেফটি কমিটি না থাকা, যন্ত্রপাতি স্থাপনের ক্ষেত্রে দেয়াল থেকে দেয়ালের দূরত্ব এক মিটার না রাখা, অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বর্তমান কারখানার মেশিন আউট-লেট প্ল্যানের সামঞ্জস্য না থাকা, বর্তমান শ্রমিক সংখ্যানুপাতে লাইসেন্স ক্যাটারি সঠিক না থাকা এবং ভবনের ভেতরে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকার বিষয়। এর মাধ্যমে কারখানাটি শ্রম আইনের ধারা-৯১ বিধি ৮৬, ধারা ৩৪ (১), ধারা ৫৬, ধারা ১১১ (৮), ধারা ৯০ (ক), বিধি-৩২৬, ধারা-৩৫৬, ধারা-৬১ লঙ্ঘন করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের ২০০৬ অনুযায়ী দণ্ডবিধি ৩০৩, ৩০৭ ও ৩০৯ ধারায় অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তাঁর চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। পুলিশ তাঁদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গতকাল বুধবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাসেমের দুই ছেলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।