atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > বিনোদন মিডিয়া > ৩৬ ঘণ্টা লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন নায়িকা নুসরাত

৩৬ ঘণ্টা লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন নায়িকা নুসরাত

বিনোদন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ 

হামাসের হামলায় রাতারাতি ধ্বংসস্তূপ ইসরাইল। বোমের শব্দে ঘুম ভাঙে নুসরাতের। হোটেলের বেসমেন্টে ৩৬ ঘণ্টা লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন নায়িকা। সুরক্ষিত দেশে ফিরে মুখ খুললেন নায়িকা।

নিজের ছবি ‘অকেলি’-এর জন্য হাইফা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে ইসরাইলে যান বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। শনিবার আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। ইসরাইলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। চারদিকে বোমার শব্দ, ধ্বংসস্তূপ আর রক্তের বন্যার মধ্যেই ঘুম ভাঙে নুসরাতের। প্রাণে বাঁচতে তেলআবিবের সেই হোটেলের বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুসরাত। ভারতীয় সরকারের হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত দেশে ফেরেন অভিনেত্রী। দেশের মাটিতে পা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিলেন না তিনি।

অবশেষে মঙ্গলবার ভিডিওবার্তায় সেই দিনের ঘটে যাওয়া সংঘাতের বিষয়ে কথা বললেন নুসরাত। তিনি বলেন, ‘এখন আমি একদম সুরক্ষিত রয়েছি’। কিন্তু আতঙ্কের ৩৬ ঘণ্টা কেমন ছিল? শুক্রবার রাতে ইসরাইলের হোটেলে নৈশভোজ সারেন, এর পর ঘুমোতে যান। সকালে ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে।

নুসরাত বলেন, ‘আজ যখন সকালে নিজের বাড়িতে ঘুম থেকে উঠলাম, বোমের শব্দ ছিল না। অনুভব করলাম আমরা কত ভাগ্যবান। আমি সত্যি ভাগ্যবান যে আমরা ভারতের মতো দেশে জন্মেছি। আমরা এখানে সুরক্ষিত। আমি সত্যি ধন্যবাদ জানাতে চাই ভারত সরকারকে, ভারতীয় দূতাবাসকে, ইসরাইলি দূতাবাসকে—যাদের সহায়তা ও সাহায্য়ে আমি সুরক্ষিত নিজের দেশে ফিরতে পেরেছি। একই সঙ্গে আমার প্রার্থনা যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য, যেন দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলে যায়, শান্তি ফিরে আসে’।

দীর্ঘ বিবৃতিতে নুসরাত লিখেছেন, ‘ওই ৩৬ ঘণ্টা আমার সারাজীবন মনে থেকে যাবে। এটি আমার জীবনের এমন এক অভিজ্ঞতা যা কখনই ভুলতে পারব না।’

বরুণ ধাওয়ান, মণীশ মালহোত্রা, হর্ষবর্ধন কাপুরসহ ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা নুসরাতের পোস্টে মন্তব্য করেছেন। নুসরাত যে সুরক্ষিত দেশে ফিরেছেন, তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সবাই।

আকেলি ছবিতে নুসরাতের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইসরাইলি অভিনেতা সাহি হালেভি ও আমির বোট্রাসও ছিলেন। সেই ছবির প্রিমিয়ারেই ইসরাইল যান নুসরাত। সেখানে নানান ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান ঘুরেও দেখেন নায়িকা। শনিবারই ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তার, অথচ ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বদলে যায় পরিস্থিতি।

নুসরাত তার বিবৃতিতে জানান, তেল হাবিবের যে হোটেলে তিনি ছিলেন, সেখান থেকে ভারতীয় দূতাবাস মাত্র ২ কিমি দূরে অবস্থিত, অথচ সেই দূরত্ব অতিক্রম করাও কার্যত অসম্ভব ছিল। রাস্তায় হামাসাস সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে। তখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি যে ফ্লাইট ধরতে তো পারবই না, উলটে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আটকে পড়ব। আমরা তখন সাহায্যের আশায় সর্বত্র ফোন করতে শুরু করি।

তেল আবিবের হোটেল থেকে বেরিয়ে বেন গুরিও বিমানবন্দরে পৌঁছানো সহজ ছিল না। ভারতের উদ্দেশে বিমান যখন রওনা দেয়, সেটা স্বর্গীয় অনুভূতি বলেই মনে হয়েছিল নুসরাতের।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :