নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাই কাটা হয়েছে।
শনিবার ১২ (সেপ্টেম্বর) সকালে মেডিক্যাল বোর্ড ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা শেষে তার মাথার সেলাই কাটার সিদ্ধান্ত দেন।
বোর্ড জানিয়েছে, ওয়াহিদার শরীরের অবশ হওয়া ডান অংশের উন্নতি হয়েছে। তিনি অবশ হওয়া ডান হাত নিজে নিজে নাড়াতে পারছেন।
ওয়াহিদা আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন জানিয়ে চিকিৎসাকরা বলছেন, তবে আপাতত এইচডিইউতেই তিনি পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে।
পরেরদিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স অ্যান্ড হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ।
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাদক, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংএর বিরুদ্ধে কাজ করে সবমহলে প্রশংসিত হন ওয়াহিদা খানম।