সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
সারাদেশে অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে চলমান অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৪টি হাসপাতাল বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১১টি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে খুলনা বিভাগে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দিনের অভিযানে ঢাকা বিভাগে ২৮৬টি, চট্টগ্রামে ২১২টি, রাজশাহীতে ১৯৩টি, রংপুরে ৭৩টি, ময়মনসিংহে ১৪৭টি, বরিশালে ৬৫টি, সিলেটে ৪৭টি এবং খুলনায় ৩১১টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এদিকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন শর্ত পূরণ করলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান অভিযানে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্লিনিকগুলোর নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া নিবন্ধিত হাসপাতালগুলোতেও অভিযান চলবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, ন্যূনতম শর্তপূরণ করলে বন্ধ ক্লিনিকের নিবন্ধনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অভিযান চালানো হবে নিবন্ধিত হাসপাতালগুলোতেও। এরপর মানভেদে করা হবে শ্রেণিবিন্যাস। এছাড়া অনিয়ম রোধে শিগগিরই বৈধ হাসপাতালেও অভিযান চালানো হবে।
এর আগে গত ২৫ মে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে চার দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ মহৎ উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়েছেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান। দেশ ও জাতির স্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত আছে এবং বন্ধ না হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।