atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > প্রচ্ছদ > প্রাণিসম্পদের উন্নত প্রজাতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রাণিসম্পদের উন্নত প্রজাতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রাণিসম্পদের উন্নত প্রজাতি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গবেষণার ফল আমরা পৌঁছে দিতে পারবো। এর ফলে মাংস, দুধ ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতার অর্জন করে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা মেটানোর পর তা দেশের বাইরে আমরা রপ্তানি করতে পারবো। গবেষণালব্ধ ফলাফল গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিলে গ্রামীণ জনগণ উৎসাহিত হবে, নিজেরা খামার করে তাদের বেকারত্ব দূর হবে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে।”

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ আন্তর্জাতিকমানের অ্যান্টিমাক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) গবেষণাগার উদ্বোধন শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সুবোল বোস মনি। অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিএলআরআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণালী যুগ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এদেশের মানুষের সকল চাহিদা পূরণ করে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এটা সমকালীন ইতিহাসে অনন্য, অসাধারণ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল অনন্তকাল প্রেরণা যোগাবে স্বর্ণালী অধ্যায় হিসেবে। একটি জাতিকে কীভাবে সমৃদ্ধ করতে হয়, পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হয় এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বের ইতিহাসে শেখ হাসিনা যেভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছেন, এর দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত বড় বড় রাষ্ট্রের কেউ দেখাতে পারেননি। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা তার নেতৃত্বে গর্বিত।”

বিএলআরআই-এর উদ্ভাবন গোটা জাতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ” ভবিষ্যতে বিশ্বে যে পরিমাণ প্রোটিন ও পুষ্টির প্রয়োজন হবে সে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের যোগান বাড়াতে হবে। যে জাতি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চায় না, পরিশ্রম করে না, বিকশিত করার জন্য মেধাকে কাজে লাগায় না সে জাতি এগোতে পারে না। এ জন্য মেধা, বিচক্ষণতা ও যোগ্যতাকে বিকশিত করে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বিনিয়োগ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশকে লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিএলআরআই-এর গবেষণা ও সৃষ্টি অনন্তকাল আমাদের সমৃদ্ধির পথে যোগান হয়ে দাঁড়াবে।”

এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএলআরআই-এর ফডার গবেষণা ও উন্নয়ন ভবনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছবি দিয়ে সজ্জিত ‘বঙ্গবন্ধু আলোকচিত্র গ্যালারি’ এবং বিএলআরআই ক্যাম্পাসে ফল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে ফলদ বাগান উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এছাড়া বিএলআরআই ক্যাম্পাসে পাঁচুটিয়া খামার, বিদেশী ভেড়ার খামার ও মহিষ খামার পরিদর্শন করেন তিনি। এদিন বিকেলে সাভারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন পোল্ট্রি ও ছাগল খামার, গবাদিপশুর খাদ্য তৈরীর টিএমআর মিল এবং মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন মৎস্য মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :