atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > সারাদেশ > শিমুলিয়াঘাট ছেড়ে গেলো যাত্রীভর্তি তিনটি ফেরি

শিমুলিয়াঘাট ছেড়ে গেলো যাত্রীভর্তি তিনটি ফেরি

রতন চৌধুরী, এটিভি সংবাদ 

মাঝরাত থেকে ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্তের পরেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শনিবার (৮ মে) ভোর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। এ অবস্থায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে পৃথক ৩টি ফেরি।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শনিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে ফেরি কুঞ্জলতা ছেড়ে যায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী ও পৌনে একটার দিকে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রো-রো ফেরি শাহপরান।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, অ্যাম্বুলেন্স বহন করে ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সের রোগী ও লাশ বহনকারী কিছু যাত্রী তো রয়েছে। তিনি বলেন, এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভোর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের যাত্রী সাধারণ শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় করতে থাকে। ভোর থেকেই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তারা।

এদের মধ্যে অনেকেই ফেরির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অবস্থান করতে থাকেন। আবার কেউ কেউ ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। তবে সকাল ৯টার দিকে ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বোঝাই করে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাতে শত শত যাত্রীকে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকেও রো-রো ফেরি এনায়েতপুরীতে ঘরমুখী যাত্রীর গাদাগাদি অবস্থান দেখা গেছে। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে পৌনে একটায় ফেরি শাহপরান ছেড়ে গেলে তাতেও শত শত যাত্রীর উপস্থিতি দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফেরি ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, বেশ কিছু লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ছিল। তা ছাড়া জরুরি কয়েকটি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে অবস্থান করছিল। সেগুলো পারাপারের জন্যই ফেরি ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে ঘরমুখো দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের চাপ ছিল ঘাটে। সড়কে তো কেউ যাত্রীদের আটকাচ্ছে না। কাজেই ঘরমুখো মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে আসছেই। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যাত্রীরা ফেরিতে উঠলে তো আটকে রাখা যায় না। কাজেই লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ফেরিতে অসংখ্য যাত্রী উঠে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধে শুধু রাতের বেলায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। তবে শনিবার সকাল থেকে যাত্রীরা ঘাট এলাকায় হাজির হন ফেরি পারের জন্য। এ সময় ঘাট কর্তৃপক্ষকে মাইকিং করে যাত্রীদের ফিরে যেতে বলা হয়। অনেক যাত্রী ফিরেও যান। আবার ফেরি চালুর আশা নিয়ে হাজারো যাত্রীকে ঘাটে অবস্থান করতে দেখা যায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :