atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > প্রচ্ছদ > সেতু ভেঙে নিহত মাদারীপুরের ৭ জনের দাফন সম্পন্ন

সেতু ভেঙে নিহত মাদারীপুরের ৭ জনের দাফন সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ    

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে নিহত সাতজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকালে মাদারীপুরের শিবচরে পারিপারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত ৩টার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।

শিবচরের ভদ্রাসন এলাকার মাদবরবাড়ির হাবিব মাদবর ও মাহাবুব মাদবরের একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুতে এ শোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। শনিবার রাত ৩টার দিকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে পৌঁছায় দুর্ঘটনায় নিহত সাতজনের লাশ। মাদারীপুরে শিবচরের পৃথক তিনটি স্থানে জানাজা শেষে তাদের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় হাজারও মানুষ অংশ নেন।

নিহত প্রত্যেকটি লাশ দাফন করার জন্য শিবচর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের হাতে প্রত্যেকের জন্য ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা তুলে দেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী ও দুই মেয়ে তাহিদা ও তাসদিয়া। এ দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবি, দুই ভাগ্নেসহ একই পরিবারের ৭ জনকে।

পুলিশ সূত্র জানায়, আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়রার সঙ্গে একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে কনেপক্ষের আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বহনকারী মাইক্রোবাসটি লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে সাতজনই মাদারীপুরের।

নিহতরা হলেন— মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসন গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী (৪০) ও তার দুই মেয়ে তাহিদা (০৭) এবং তাসদিয়া (১১)। একই এলাকার মৃত ফকরুল আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)।

ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, এতগুলো লাশ আমরা কেউ একসঙ্গে দেখিনি। আমতলীর প্রশাসনের অবহেলার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

যারা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশের দাফনের জন্য আমরা প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করেছি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :