atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > প্রচ্ছদ > যে কারণে মহররমের ৯ তারিখ রোজা রাখবেন

যে কারণে মহররমের ৯ তারিখ রোজা রাখবেন

ধর্ম ডেস্ক:‘রাসূল (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা আল্লাহর মাস মহররমের আশুরার রোজা।’ (সুনানে কুবরা: ৪২১০)।
‘রাসূল (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা আল্লাহর মাস মহররমের আশুরার রোজা।’ (সুনানে কুবরা: ৪২১০)।

আরবি হিজরি সনের মহররম মাস সম্মানিত হওয়ার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আশুরা বা মহররমের ১০ তারিখ। পৃথিবীর শুরু থেকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা এ দিনে সংঘটিত হয়েছে। ফলে ইসলামি শরীয়তে কিছু দিনে যে স্বতন্ত্র আমলের কথা বলা হয়েছে, তন্মধ্যে আশুরা’র দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহুল। এ দিন রোজা রাখলে বিগত বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যায়।

‘রাসূল (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা আল্লাহর মাস মহররমের আশুরার রোজা।’ (সুনানে কুবরা: ৪২১০)।

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং রমজান মাসের রোজার প্রতি। (বুখারি)।

কিন্তু মহররমের ৯ তারিখ কেন রোজা রাখতে হয়? আর আশুরায় রোজা রাখা সম্পর্কে বিশ্বনবীর (সা.) নির্দেশনা কী ছিল?

মহররম মাসের রোজা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আশুরার রোজা রাখার মাধ্যমে আমি এ আশা রাখি যে, আল্লাহ তায়ালা এ রোজাকে আগের বছরের গোনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করবেন।’ (মুসলিম)।

যে কারণে মহররমের ৯ তারিখ রোজা রাখবেন: মহররম মাসে আশুরা উপলক্ষ্যে দুদিন রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কেননা এক দিন রোজা রাখলে তা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি যদি পরের বছর বেঁচে থাকি তবে আমি (মহররমের) নবম দিনও রোজা রাখব।’ (মুসনাদে আহমাদ)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রোজা রাখতে বলেন। তখন তারা (সাহাবায়ে কেরাম) বললো- হে আল্লাহর রাসূল! (সা.) এ দিনটিতে ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরাও রোজা পালন করে।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ চাইলে আমরা পরের বছর মহররমের ৯ তারিখও রোজা পালন করব।’ কিন্তু পরের বছর বিশ্বনবী (সা.) ইন্তেকাল করেন।’ (মুসলিম)।

এ কারণেই মুসলিম উম্মাহর বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারদের অভিমত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহররমের ১০ তারিখ রোজা রেখেছেন আর পরের বছর ৯ তারিখ রোজা রাখার নিয়ত করেছিলেন।

সুতরাং মহররমের ৯-১০ রোজা রাখা উত্তম। আর এতে রয়েছে অনেক কল্যাণ ও বরকত। মহররমের ১০ তারিখের পাশাপাশি ৯ তারিখও রোজা ভালো। এ ছাড়াও মহররম মাস জুড়ে রোজা পালন ও ইবাদত-বন্দেগিতে রয়েছে অনেক সাওয়াব ও কল্যাণ।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে মহররমের ৯-১০ তারিখ মোতাবেক ২৯-৩০ আগস্ট রোজা পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :