https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিতে যুদ্ধ করতে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিতে যুদ্ধ করতে হয় – atv sangbad
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিতে যুদ্ধ করতে হয়

রিপোর্টার নাম / ২৮ Time View
Update : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩, ৮:১০ পূর্বাহ্ন

আহসান হাবীব, এটিভি সংবাদ

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো পড়ে আছে সনাতন ব্যবস্থায়। এখানে ভর্তির টাকা অনলাইনে দেওয়া গেলেও বিভাগ/ইনস্টিটিউট ও হলের টাকা জমা দিতে হয় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সনাতনি পদ্ধতিতে। এতে অন্তত দুই থেকে তিন দিন অনেক কষ্ট ও ভোগান্তি নিয়ে কাজটি শেষ করতে হয়েছে নবীন শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের বিভাগ/ ইনস্টিটিউট ঠিক করার পর তাঁদের হল মনোনয়ন করে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব ফি দিলে তাঁদের একটি পে-ইন স্লিপ দেওয়া হয়।

জুনের প্রথম সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত শেষ হয় এই ধাপগুলো। এরপর বাকি প্রক্রিয়া সশরীরে করতে হয় শিক্ষার্থীদের।

এ জন্য একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে বিভাগ/ইনস্টিটিউটে যেতে হয়। সেখান থেকে বিভাগ/ইনস্টিটিউট ফি জমা দিতে রসিদ সংগ্রহ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ফি প্রদানের রসিদ নিতে হয় ব্যাংকে গিয়ে। বিভাগ/ইনস্টিটিউট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক বা কার্জন হলের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়ে এই ফি জমা দিতে হয়।
ফি জমা দেওয়ার পর রসিদ নিয়ে আবার বিভাগ/ ইনস্টিটিউটে সেটি জমা দিতে হয়। সেখান থেকে নিতে হয় বিভাগ/ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান/ পরিচালকের স্বাক্ষর। চেয়ারম্যান/ পরিচালক না থাকলে স্বাক্ষরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় নয়তো পরের দিন যেতে হয়। এরপর স্বাক্ষরকৃত পে-ইন স্লিপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে যেতে হয় সেখান থেকে হল ভর্তি ফি দিতে আবারও রসিদ নেওয়া লাগে। এবার সেই ফি দিতে ছুটতে হয় অগ্রণী ব্যাংক বা টিএসসির জনতা ব্যাংক শাখায়।

ফি জমা দেওয়ার পর রসিদ নিয়ে আবার হলে যেতে হয়। তখন হল প্রাধ্যক্ষ পে-ইন স্লিপে স্বাক্ষর করেন। সেই স্বাক্ষরকৃত পে-ইন স্লিপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আবার নিজের বিভাগ/ইনস্টিটিউটে জমা দিতে হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষ করার পরই শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়? গত ১০ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে এই ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয় ১৪ আগস্ট।

সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার দেখা যায়, এই ফি জমা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাংকের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। প্রশাসনিক ভবনের ভেতর থেকে শুরু হয়ে শিক্ষার্থীদের লাইন চলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কখনো বা উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাইমুম আক্তার দিনা বলেন, ‘টানা দুই দিন প্রচণ্ড দৌড়াদৌড়ি করে ঢাবির ভর্তি সম্পন্ন করেছি। বিভাগ থেকে প্রথমে ফরম দিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়? এত লম্বা লাইন, সঙ্গে কী পরিমাণ যে বিশৃঙ্খলা! দীর্ঘ দেড়/দুই ঘণ্টা পর এক প্রকার যুদ্ধ করেই ব্যাংক থেকে বের হলাম। এরপর ফের বিভাগে যেতে বলা হলো। সেখান থেকে পে-ইন স্লিপটা নিয়ে আবার হলে। হলের লাইনে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, ঢাবিতে চান্স পাওয়ার চেয়ে ভর্তি হওয়াটাই কষ্টকর বেশি। এক লাইনে দাঁড়িয়ে পে-ইন স্লিপে সাইন করে সেটা ওখানে রেখে দেওয়া হলো। ফের আরো দীর্ঘ একটা লাইনে দাঁড়িয়ে নাম-ঠিকানা লিখতে হলো। প্রায় তিন ঘণ্টা পর হল থেকে বেরিয়ে যেতে হলো জনতা ব্যাংকে। একগাদা চেক লিখে লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দিতে হলো টাকা। এতেই শেষ না। বলা হলো পরের দিন যাতে হলে যাই। সেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ফের পে-ইন স্লিপটা নিতে হলো। এরপর আবার বিভাগে গিয়ে অবশেষে ঢাবির ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো।’

জানতে চাইলে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের উম্মে হাবিবা বলেন, ‘ঢাবিতে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে খুব একটা ভালো ছিল না। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। সব থেকে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে। সারা দিন লেগে গেছে শুধু ব্যাংকে টাকা জমা দিতে। অনেকে তাও পারেনি। আর ওখানে অনেক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছিল। এমনকি হলেও একই অবস্থা ছিল। টানা তিন দিন অনেক কষ্টের পর ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পেরেছি। সারা দিনে কোনো কিছু খাওয়ার সময় পর্যন্ত হয়নি। সেই সকাল ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে রাতে ফিরতে হয়েছে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তির বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এই প্রক্রিয়া অনলাইনে করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি সশরীরে এসে এ রকম লাইন ধরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দিতে হবে না।’

এটিভি/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ