অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ //
মাদক যারা নিয়ন্ত্রণ করবে তারাই মাদকের নাম করে ভদ্রলোকের বাসায় ঢুকে অর্থ আত্মসাৎ করে কি দারুন নিয়ম তাদের! মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যেখানে নিজেরাই অনিয়ন্ত্রিত। কি করে করবে তারা এ দেশে মাদকের নিয়ন্ত্রণ? এমন এক ঘটনার জন্ম হয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বাহাদিপুর এলাকায় অভিযানের নাম করে এক বাসায় ঢুকে মাদক আছে মর্মে তল্লাশি শুরু করে। কোন কিছু না পেয়ে একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানায়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বাহাদিপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে আসেন ওই তিন কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত পাওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাড়ির মালিক ছালেহা বেগম এটিভি সংবাদকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের ৮ সদস্যের একটি দল আমার বাড়িতে এ অভিযান করে। যেখানে সর্বোচ্চ বাজে পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছুর মূলে ছিলো সহকারি উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদ যা বললেন ছালেহা বেগম। কেনো শামীম আল আজাদকে কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করলো না এ নিয়ে আমার প্রশ্ন!
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন, এটিভি সংবাদ ডটকম’র সম্পাদক এস এম জামান। তিনি বলেন শুধু বরখাস্ত নয়, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে বাকিরাও সংশোধিত হবে না। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কোন খুঁটির জোরে শামীম আল আজাদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক বরখাস্তের তালিকা থেকে বাদ কেন?