কক্সবাজার প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ //
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলা কবিরের দোকানের পূর্ব পাশে আমির মোহাম্মদ চৌকিদারের পুরাতন ভিটা এলাকায় বনভূমি দখল করে এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মুক্তার, হেডম্যান পরিচয়দানকারী আব্দুল হক এবং নতুন বিট কর্মকর্তা মকসুদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দু’টি অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদ করে প্রায় ২০ শতক পাহাড়ি বনভূমি জবরদখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
দখলকৃত জমিতে সুপারি গাছ রোপণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই ভাই হলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সদস্য নুর আহমদ প্রকাশ ‘মুইন্না’ এবং গোরা মিয়া। তাদের অত্যাচারে এলাকার শত শত মানুষ অসহায় এবং আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গোরা মিয়া নিজেকে ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা ও সমাজসেবক পরিচয় দিলেও তিনি মূলত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের একজন চিহ্নিত দখলবাজ হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে তার ভাই মুইন্না পেশায় একজন দালাল। এই দুই ভাই ২০ শতক জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে আমির মোহাম্মদ চৌকিদারের দুই পুত্র নুর আলম ও বদি আলমকে তাদের পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে নিজেদের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। একই সাথে পাশের অবশিষ্ট জমি মিনার দখলে থাকলেও, নুর আহমদ ও গোরা মিয়া সেই ভিটাও দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নামধারী এই দুই ভাই দীর্ঘ দিন ধরে সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে মিথ্যা মামলা, জমি দখল, হয়রানি এবং নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
এছাড়াও গোরা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে একজন বিদেশে রয়েছে, এক ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অপর ছেলে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেলা কবির দোকানের এলাকায় পাসপোর্ট দালালি, জুয়ার আসর এবং মদের আসর বসিয়ে রাম রাজত্ব গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তার দোকান সারাদিন বন্ধ থাকে শুধুমাত্র অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য রাতে খোলা হয়। যা গোটা সমাজকে কলুষিত করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কি বিষয়টি দেখছেন না? এত অন্যায় ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নেপথ্যে যারা বহাল তবিয়তে প্রশাসন তাহলে কোন দিকে?
উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দখলকৃত বনভূমি উদ্ধার করে অসহায় গরীব পরিবারগুলোকে তাদের ভিটা-মাটি ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্বসহকারে দেখবেন এবং সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই আশা করছেন, এটিভি সংবাদ ডটকম’র সম্পাদক এস এম জামান।
এটিভি/আ.লীগের তাণ্ডব/কক্সবাজার