ক্লিনিকের ওষুধ রাখার ফ্রিজে রাখা হয়েছে মাছ-মাংস, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন চারপাশ। মানা হয়নি ক্লিনিক তৈরির কোন বিধান। একজন মেডিকেল অফিসার ও ডিপ্লোমা ছাড়া অদক্ষ নার্স দিয়েই চলছে ২৪ ঘণ্টার কার্যক্রম। আবার নিয়মিত প্রসূতি রোগী ভর্তি এবং সিজারও চলছে। যশোরের মণিরামপুরে মনোয়ারা ক্লিনিক, মনিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক ক্লিনিক ও শহরের সিটি হাসপাতালে প্রশাসনের অভিযানের পর বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সারাদিন জেলা প্রশাসন, র‌্যাব ও সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল যশোর শহর ও মনিরামপুর অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এসময় তিনটি ক্লিনিকে অনিয়মের সত্যতা মেলায় মনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হাইকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মনিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক ক্লিনিকের মালিক অলিয়ার রহমানকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও সিটি হাসপাতালের মলিককে দশহাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরী জানান, ক্লিনিক তিনটিতে চিকিৎসার কোন পরিবেশ নেই। তথাকথিত মেডিকেল অফিসার ও অদক্ষ নার্স দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছে। একটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন তার কোন কিছুই ক্লিনিক তিনটির মালিক দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একজন মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, অপর একটি ক্লিনিকে মালিককে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এছাড়াও শহরের সিটি হাসপাতালকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র‌্যাব ৬ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব জানান, স্বাস্থসেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে র‌্যাব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মনিরামপুরে অভিযান চালিয়ে দুটি ক্লিনিক মালিক এবং যশোর শহরের একটি ক্লিনিক মালিককে জরিমানাসহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা করা হয়েছে। র‌্যাবের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. ইফফাত জেরিন নূরানী ও ডা. সাফেদা আক্তার কেয়া।

এটিভি/এস