নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের এনআইডি করার যে পাইলট প্রকল্প সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও দুটি দেশ যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে কাজ শুরুর অনুরোধ জানিয়েছে। সেগুলো কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করে স্মার্ট এনআইডি দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২১ আগষ্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে আউয়াল কমিশনের এ বিষয়ে জানাননির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বেশ কয়েকটি আলোচ্যসূচি নিয়ে এ সভা হয়।
ইসি সচিব বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে এনআইডি সেবা দেয়ার আশা প্রকাশ রাখেন সচিব জাহাংগীর আলম।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটা শুরু করেছি। কবে পাবে না যাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আশা করি, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে পারবো। সোমবারের কমিশন সভায় ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন’ এর খসড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, ১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্স বাংলায় অনুবাদ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কারণ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, সরকারি নির্দেশনার আলোকে মামলার রায়ে সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স ও আইনগুলো বাংলায় করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সভায় বর্তমান ইসি ২০২৩ সালের এ খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এখন ইসি সচিবালয় তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সেখানে ভেটিংয়ের পর মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়ে সংসদে যাবে। এ খসড়ায় কোনো পরিবর্তন হয় নিন, শুধু বাংলায় হবে, সালগুলো পরিবর্তনন হয়ে ২০২৩ হবে। সিইসি ও ইসির বিদ্যমান সুবিধাদি একই থাকছে। সিইসি মহোদয় আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি যে সুযোগ সুবিধা পান সেটাই পাবেন। আর মাননীয় কমিশনার মহোদয়রা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এ সময় ইসির অতিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও এনআইডি উইং মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।