অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ //
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের টিআর (টেস্ট রিলিফ) খাতের গাছের চারা রোপণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি চারায় অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কমিটি অনুমোদন ছাড়া অর্থ ছাড়সহ নানা অনিয়মে মাধবপুর উপজেলায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের টিআর খাত থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৬ লাখ টাকার মধ্যে মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সুরমা চা বাগান সংলগ্ন সড়কের দুপাশে গাছ লাগানোর অনুমোদন হয় ৩ লাখ টাকায়। কিন্তু বাস্তবে সেখানে প্রায় ৫ শতাধিক গাছ রোপণ করা হয়েছে খুঁটি ও প্লাস্টিকের বেড়াসহ।
প্রতি গাছে ৬’শ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এ কাজটি সম্পন্ন করেছে, কিংবা কোন ঠিকাদার এতে জড়িত ছিলেন—তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই প্রকল্পের আওতায় পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাট উপজেলাতেও অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘কী কাজ হয়েছে আমি জানি না। অনেক জায়গা থেকে আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়েছে, কিন্তু কাজ না দেখে পিআইসির সভাপতির দায়িত্ব নিতে পারি না।
এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা এহসানুল কাদির জানান, কমিটি হয়েছে কিনা সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। ইউএনও বলেছেন, তাই আমরা অর্থ ছাড় করেছি। এভাবে করার অনুমতি রয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নার্সারি মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকায় লাগানো চারা, খুঁটি ও বেড়াসহ প্রতি গাছের ব্যয় ১০০-২০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তবুও প্রকল্পে প্রতি গাছে ৬০০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।এতে সম্ভাব্য ২ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ দেখানো হয়েছে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম বলেন, ‘পিআইসি কমিটি না হলেও কোনো সমস্যা নেই। প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থায় কমিটি গঠন করা হবে। চারা লাগানোয় কোনো অনিয়ম হয়নি।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি ঘৃণিত বলে মন্তব্য করেছেন, এটিভি সংবাদ ডটকম’র সম্পাদক এস এম জামান। তিনি বলেন, এমন যদি হয় জেলা প্রশাসকের প্রকল্পে আর সেখানে যদি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয় সেক্ষেত্রে এ দায় এড়াতে পারেন না জেলা প্রশাসক!
এটিভি/কেবি/হবিগঞ্জ/প্রকল্পে অনিয়ম/কেএইচ